অনুবাদ: মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পাশ্চাত্য থেকে ইহুদীরা ফিলিস্তীনে তাদের রাষ্ট্র ও সরকার ( যায়নবাদী ইহুদীবাদী ইসরাইল ) প্রতিষ্ঠার জন্য আগমন করবে ।
উপস্থিত জনতা তখন বললঃ “ হে আবুল হাসান ! তখন আরবরা কোথায় থাকবে ? “ তিনি তখন বললেনঃ “ তখন আরবদের ( সামরিক ) শক্তি ও ক্ষমতা ছত্রভঙ্গ ও ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে , তখন আরবরা থাকবে পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও শতধা বিভক্ত ।
আবররা তখন পরস্পর ঐক্যবদ্ধ ও পরস্পরের সাহায্য ও সহযোগিতাকারী হবে না এবং এক কাতারবদ্ধ থাকবে না ( তাদের মধ্যে তীব্র অনৈক্য বিরাজ করবে ) । “ এরপর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলঃ “ এই বালা – মুসীবত ( বিপদ ) কি স্থায়ী হবে ? “ তিনি বললেনঃ “ না , তবে যখন ( পরাধীন ) আরবরা তাদের ( পরাধীনতার ) লাগাম ও জোয়াল ছুড়ে ফেলে দিবে ও তা ছিন্ন করবে এবং যখন ভেবে চিন্তে দৃঢ় সংকল্প ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের কাছে ফিরে আসবে তখন তাদের হাতে ফিলিস্তীন বিজিত হবে এবং আরবরা তখন বিজয়ী ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে । আর ইরাক থেকে একটি সেনা ও সাহায্যকারী দল আসবে যাদের পতাকাসমূহে উৎকীর্ণ থাকবে আল-কুওওয়াহ ( শক্তি ) ।
অবশ্যই গোটা আরবজাতি ও ইসলাম ( মুসলিম উম্মাহ ) সবাই মিলে ফিলিস্তীনকে উদ্ধার করার জন্য একত্রে ও একযোগে সাগরের মাঝে এক মহা সমর ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে ; লোকজন রক্তের মধ্যে নিমজ্জিত হবে এবং নিহতদের ওপর দিয়ে আহতরা হেটে যাবে । “ এরপর তিনি বললেনঃ “ আর আরবরা তিন বার এ কাজ ( ফিলিস্তীন উদ্ধারের চেষ্টা ) করবে ( কিন্তু তারা ব্যর্থ হবে ) এবং চতুর্থ বারে যখন আল্লাহ তাদের অন্তরে দৃঢ়তা ও ঈমানের অস্তিত্ব নিশ্চিত ভাবে পাবেন তখন তাদের মাথার ওপর বিজয় ও সাহায্য উড়ে চলে আসবে । “ তখন তিনি বললেনঃ “ মাহান আল্লাহর শপথ ! তারা ( সম্মিলিত আরব ও মুসলিম বাহিনী ) ভেড়া যিবহ ( জবাই ) করার মতো এতটা যিবহ ( জবাই ) করতে থাকবে যে এরফলে ফিলিস্তীনে একটা ইহুদীও আর বিদ্যমান থাকবে না । “
সূত্রঃ ইসনা আশারীয়াহ ইমামীয়াহর আকীদা- বিশ্বাস , পৃঃ ২৭০